যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নৃশংসতা নিয়ে ব্যাপক হতাশা ও ক্ষোভ রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দেশটির পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভও হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক বছরে পুলিশের গুলিতে কী পরিমাণ মানুষ নিহত হয়েছেন সেই তথ্যের একটি ছক উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ডের একটি ছক উপস্থাপন করেন তিনি। যেখানে ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশটিতে পুলিশের হাতে নিহতের সংখ্যা উল্লেখ করা আছে। 

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশটিতে ২০১৩ সালে পুলিশের গুলিতে ১১০৬ জন, ২০১৪ সালে ১০৫০ জন, ২০১৫ সালে ১১০৩ জন, ২০১৬ সালে ১০৭১ জন, ২০১৭ সালে ১০৯৫ জন, ২০১৮ সালে পুলিশের গুলিতে সর্বোচ্চ ১১৪৩ জন এবং ২০১৯ সালে ১০৯৮ জন নিহত হয়েছেন। অর্থাৎ ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১১০০ মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর বলা হয়, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশের হাতে নিহত কিংবা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ পরিসংখ্যানে যারা পুলিশি হেফাজতে কিংবা অন্য পদ্ধতিতে নিহত হয়েছেন, তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

২০১৪ সালের আগস্টে মাইকেল ব্রাউন নামে ১৮ বছর বয়সী এক হাইস্কুল শিক্ষার্থী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে পুলিশের সহিংসতার সমাধানে মার্কিন সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সামনে থেকে কাজ করছে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন।

২০২০ সালের ২৫ মে জর্জ ফ্লয়েড নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে আটক করার সময় হাঁটু দিয়ে ঘাড় চেপে ধরে তাকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। পুলিশের নির্যাতন থেকে বাঁচতে ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না’ বলেও আকুতিও করেছিলেন ফ্লয়েড। কিন্তু পুলিশ তার প্রতি কোনো করুণা করেনি।

ওই একই বছরের মার্চে নিজ বাড়িতে ব্রিওন্না টেইলর নামে এক নারীকে হত্যা করে পুলিশ। সিএনএনর খবরে বলা হয়, তার ঘরে ঢুকে পুলিশ তাকে আটবার গুলি করেছিল। কিন্তু এসব সত্ত্বেও আমেরিকার পুলিশ সংস্কার নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না।

এসকেডি