কোথায় উঠবেন মুরাদ?
কানাডার পর দুবাইয়ে ঢুকতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়া সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান দেশে ফিরেছেন। রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫১ মিনিট নাগাদ এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশে ফেরেন বলে বিমানবন্দর সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কানাডায় ঢুকতে চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর মুরাদ হাসান দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু দুবাইয়ের ভিসা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, প্রথমে মুরাদ হাসানকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে তার ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম শেষ করা হয়। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জে আসেন তিনি। এখন সেখানেই বসে আছেন তিনি। বাইরে সাংবাদিকদের অপেক্ষা করছেন।
এ অবস্থায় তিনি কি বাসায় ফিরবেন নাকি অন্য কোথাও উঠবেন- এ প্রশ্ন করছেন অনেকে।
মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান সপরিবারে থাকতেন রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর সড়কের এক বাসায়। ভবনের চার তলায় তার বাসা, দোতলায় অফিস। তার বাড়িটি এখন নীরব। নেতাকর্মীরা ভিড় করছেন না। তার বাসা ধানমন্ডির ১৫ নম্বর (সাবেক ২৮ নম্বর) সড়কের ৩০/এ ভবনে।
এক হাজার ৮০০ বর্গফুটের বাসা ডা. মুরাদের। মুরাদ দেশ ছেড়ে উড়াল দেয়ার পর নেতাকর্মীদের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। মুরাদ তার ব্যবহৃত গাড়িটি ভবনের গ্যারেজে রেখেছেন। তার পরিবারের সদস্যরা বাসায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ফেসবুক লাইভ টকশোতে নারী বিদ্বেষী বক্তব্য প্রদান এবং চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় ধর্ষণের হুমকি প্রদানের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত সপ্তাহে (৭ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ডা. মুরাদ হাসান। এরপর গত বৃহস্পতিবার দেশ ছেড়ে কানাডার উদ্দেশে চলে যান তিনি। দুবাই হয়ে কানাডার টরেন্টো বিমানবন্দরে পৌঁছালেও সে দেশের কর্তৃপক্ষ তাকে বিমানবন্দর থেকেই ফিরিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে মুরাদ হাসান দুবাই ফিরে আসেন। দুবাই বিমানবন্দরে বসে আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু এতেও ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ দেশেই ফিরে আসেন।
পিএসডি/এইচকে