বাংলাদেশ উলামা পীর মাশায়েখ মহাজোটের কার্যকারী সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সাত্তার বলেছেন, যারা রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা পাক হানাদার বাহিনীর বন্ধু, তারা স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুদের প্রেতাত্মা, তারা ঈমান চোর। তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে অপ্রচার বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তক্ষেপও কামনা করছি।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ উলামা পীর মাশায়েখ মহাজোট আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। 

মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের সাথে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কারণ জঙ্গিদের কাজের পদ্ধতি ও চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে রাজারবাগ শরীফের কাজের পদ্ধতি ও চিন্তাভাবনায় রয়েছে বিস্তর ফারাক। 

তারা বলেন, জামায়াত-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গত ৫০ বছর ধরে নিরলসভাবে কাজ করছে রাজারবাগ শরীফ। আর এজন্য রাজারবাগ শরীফকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

বক্তারা বলেন, জঙ্গিদের কাজের ধরন হলো তারা মানুষকে হতাহত করে, ভয় দেখিয়ে, অস্ত্র হাতে নিয়ে হুমকি দিয়ে, বোমাবাজি করে, ত্রাস সৃষ্টি করে, অর্থাৎ আইন অমান্য করে তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা চালায়। কিন্তু রাজারবাগ দরবার শরীফের কাজের পদ্ধতি হলো, রাষ্ট্রের আইন মেনে, জনমত তৈরি করে, সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিশুদ্ধকরণের মধ্য দিয়ে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সঙ্গে রাজারবাগ দরবার শরীফের এখানেই মৌলিক পার্থক্য।

বক্তারা আরও বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফের পক্ষ থেকে যদি এ দেশে কোনো ইসলামী আইনের প্রয়োজন অনুভব করা হয়, তখন প্রয়োজনের কথা রাজারবাগ শরীফের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদফতর বা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়। তারপরও যদি কাজ না হয়, তখন মিডিয়ার মাধ্যমে জনমত তৈরি, পত্রপত্রিকায় লেখালেখি, প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয় যেন সরকার বুঝতে সক্ষম হয় জনগণের আইনটি প্রয়োজন। প্রয়োজন হলে রাজারবাগ শরীফ সংবিধান অনুযায়ী আইনের পরিবর্তন বা পরিশোধন চায়। পাশাপাশি কেউ ধর্মবিরোধী কোনো অপরাধ করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী রাজারবাগ শরীফ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ উলামা পীর মাশায়েখ মহাজোটের অন্তর্ভুক্ত আলহাজ্ব মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, মাওলানা মুহাম্মদ আখতার হোসেন বুখারী, মাওলানা মুহাম্মদ শোয়াইব, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলীল, ক্বারী মাওলানা মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

এমএইচএন/আইএসএইচ