ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জোড়া লাগানো শিশু লাবিবা-লামিসার অস্ত্রোপচার আগামী সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা। 

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের সভাকক্ষে এ কথা জানান ঢামেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফুল উল হক কাজল।

তিনি বলেন, লাবিবা ও লামিসার বয়স আড়াই বছর। ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল তাদের জন্ম হয়। জন্মগতভাবে তারা জোড়া লাগানো। আমাদের এখানে আড়াই মাস হলো ভর্তি হয়েছে। করোনার কারণে আমরা তাদের অস্ত্রোপচার করতে পারিনি। আগামী সোমবার তাদের অস্ত্রোপচার করা হবে। এ অপারেশন করতে ১২-১৩ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। এ সময় ২টি অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত রাখা হবে। এ অপারেশনে ৩০-৩৫ জন চিকিৎসক উপস্থিত থাকবেন। আমরা আশাবাদী একটি সফল অপারেশন হবে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরও জানান, তাদের দুজনের মলদ্বার একটি। বাইপাস সার্জারির মাধ্যমে পৃথক মলদ্বার তৈরি করা হয়েছে। এই ২ শিশুর জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডে পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নিউরো সার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি, পেডিয়াট্রিক্স, রেডিওলজি, ইউরোলজি, অর্থোপেডিক, সার্জারি ও অ্যানেসথিওলোজির চিকিৎসক আছেন।

ডা. আশরাফুল আরও জানান, এই পরিবারটি অনেক গরিব। এটা অনেক ব্যয়বহুল চিকিৎসা; তবে এটা আমরা ফ্রি  করব। শিশুটির বাবা দিনমজুর। তাদের বাড়ি নীলফামারী জেলায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া, নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. অসিত চন্দ্র সরকার,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আইয়ুব আলী, ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হালিমা বেগম, ঢমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও স্টোর) ডা. আশরাফুল আলম, শিশু বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হানিফ (টাবলু), পেডিয়েট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আইয়ুব আলী সরকার, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক বিধান সরকার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালে তোফা-তহুরা এবং ২০১৯ সালে রাবেয়া-রোকাইয়া নামে দুই শিশুর সফল অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তারা এখন ভালো আছেন।

এসএএ/এসকেডি