বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন চীনা রাষ্ট্রদূতের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলন ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। শুক্রবার অ্যা মিনিট উইথ অ্যাম্বাসেডর শীর্ষক ভিডিওবার্তায় এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত গণতন্ত্র সম্মেলন বেশ ধুমধাম করে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ যখন এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তখন চীন অন্য একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে, প্রকৃত গণতন্ত্র কী? যুক্তরাষ্ট্র কি গণতন্ত্রকে সংজ্ঞায়িত করার যোগ্যতা রাখে?
বিজ্ঞাপন
লি জিমিং বলেন, ‘গণতন্ত্র’ শব্দটির প্রাচীন গ্রিক মূল শব্দে ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাই ‘জনগণের শাসন’। একটি দেশ গণতান্ত্রিক কি না, তা বিচার করবে সে দেশের জনগণ, বাইরের কোনো নিজস্ব-শৈলীর বিচারক নয়। একইভাবে, যেহেতু বিশ্ব বৈচিত্র্যময় তাই একঘেয়ে দৃষ্টিকোণ থেকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং মানবজাতির বিভিন্ন সভ্যতাকে বিচার করার জন্য একই মাপকাঠি ব্যবহার করার বিষয়টি অগণতান্ত্রিক।
রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন বিশ্বাস করে, একটি দেশ গণতান্ত্রিক কি না তা নির্ভর করে তার জনগণ সত্যিকার অর্থে সে দেশের মালিক কি না তার ওপর। জনগণকে শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার জন্য জাগানো হলে পরপরেই তারা আবার নিষ্ক্রিয় অবস্থায় প্রবেশ করে। যদি নির্বাচনের পরে তাদের কোনো বক্তব্য না থাকে, কিংবা যদি ভোট চাওয়ার সময় তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, কিন্তু নির্বাচনের পরে তারা উপেক্ষিত হন, এমন গণতন্ত্র অবশ্যই প্রকৃত গণতন্ত্র নয়।
তিনি বলেন, সমাজতান্ত্রিক আধুনিকীকরণের মধ্য দিয়ে চীন জনগণের গণতন্ত্র বিকাশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশের গল্পটিও এক। দেশটি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুদিনব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রথম ধাপ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে প্রথম পর্বে ১১০টি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণের তালিকায় ছিল না চীন, রাশিয়া ও বাংলাদেশের নাম। তবে দ্বিতীয় ধাপে ডাক পাবে বলে আশাবাদী ঢাকা।
এনআই/আরএইচ