মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার : লিখিত জবাবের অপেক্ষায় ঢাকা
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। চলতি মাসের মধ্যেই সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তিনি।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর গণমাধ্যমে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমন প্রত্যাশার কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভায় আমাদের এমওইউ অনুমোদিত হয়েছে। তবে আমরা এখনও লিখিতভাবে খবর পাইনি। যাই হোক না কেন, আমরা কিন্তু আনন্দিত। অনেক বছর পরে হলেও একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি কাজটা লিখিত খবর পাওয়ার পরে আমরা বুঝতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আশা করা যায় যে এ মাসের মধ্যে এমওইউটা আমরা সম্পন্ন করে নিতে পারব। ওনারা চাইছে এটা খুব তাড়াতাড়ি করে নিতে কিন্তু আমাদেরও তো কিছু কার্যকলাপ আছে। আর লিখিতভাবে আসার পর আমাদের সিদ্ধান্ত হবে।’
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে শিগগিরই ঢাকার সঙ্গে চুক্তি সইয়ের অনুমোদন দিয়েছে মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্বারক সইয়ের পরপরই বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া শুরু করতে চায় মালয়েশিয়া। সব পেশার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উত্পাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি।
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় দুই বছর ধরে বিদেশি কর্মীদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়া। যদিও বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ রয়েছে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে। চলতি মাসেই দুদেশের মধ্যে কর্মী-সংক্রান্ত এমওইউ স্বাক্ষর হওয়ার পর মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোয় আর কোনো বাধা থাকবে না।
এনআই/এসকেডি