ছাত্রলীগ নেত্রীদের টানাটানি, ব্যানার ছাড়াই সমাবেশ
কর্মসূচিতে ব্যানারের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রীদের মাঝে ধাক্কাধাক্কি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে ব্যানার ছাড়াই অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ।
বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিভিন্ন সময় ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের হামলায় নিহত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হত্যার রায় দ্রুত ঘোষণার দাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এ চিত্র দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে মিছিল শুরুর আগে ব্যানারের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে এক রকম ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে, যেটি রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ পর্যন্ত পুরো মিছিল জুড়েও দেখা যায়। মিছিল শেষে সমাবেশ শুরুর আগেও একই ঘটনা দেখা যায়। সর্বশেষ ছাত্রলীগ সভাপতির নির্দেশে ব্যানার ছাড়াই সমাবেশ করতে হয়।
ব্যানার টানাটানিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা শিকদার, ফরিদা পারভীন ও জিয়াসমিন শান্তাসহ ঢাবি ও ইডেন কলেজের নেত্রীদের দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিলোত্তমা শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকের কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেক মেয়েরা এসেছে সে তুলনায় ব্যানারের সাইজটা পর্যাপ্ত না। দেখা যাচ্ছে আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি সেক্রেটারি সবাই এসেছে। সবাই ব্যানারের সামনে দাঁড়াতে চায়, তাই একটু সমস্যা হয়েছে। পরবর্তীতে লেখক ভট্টাচার্য দাদা সামনে এসে এটি মিনিমাইজ করে দিয়েছেন। তার নির্দেশে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়েরা ব্যানারের সামনে ছিল।
এ ঘটনাটি পজিটিভ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে ব্যানারের সামনে দাঁড়ানোর জন্য মেয়ে পাওয়া যেত না কিন্তু এখন ছাত্রলীগ মেয়েদের এতটাই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, এখন সামনে কে দাঁড়াবে সেটা নিয়ে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। এটিকে পজিটিভলি নেওয়া উচিত।
ফরিদা পারভীন বলেন, বর্তমানে রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আমাদের ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি। এর বাইরেও কেউ কেউ ব্যানারের সামনে দাঁড়াতে চায়। তাই একটু টানাহেঁচড়া, তেমন কিছু না। আর মিছিলে তো একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থাকেই।
তবে এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন ও হোয়্যাটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এইচআর/আইএসএইচ