স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে জনগণকে সেবা দেওয়া। জনগণকে সেবা দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সবাইকে সবসময় মানুষের পাশে থাকতে হবে।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক স্থানীয় সরকার (ইএএলজি) প্রকল্পের আওতায় ‘স্থানীয় সরকারে নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার: সম্পদ আহরণ, কার্যকর সমন্বয় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলতে বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মানুষকে সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই আমরা সবাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচিত হওয়ার পর সেবা দেওয়ার সময় যদি আমি জনগণের পাশে না থেকে পার্টটাইম অথবা অন্য কাজকর্মে ব্যস্ত থাকি, তাহলে মানুষকে দেওয়া অঙ্গীকার আমরা রক্ষা করতে পারবো না।

হাইড্রোলজিক্যাল, মর্ফোলজিক্যাল, ফিজিওলজিক্যাল স্ট্যাডি এবং নেভিগেশন সুবিধা না রেখে কোনো সেতু নির্মাণ করা যাবে না বলেও এসময় জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, রাস্তা-ব্রিজসহ এলজিইডির সব কাজ টেকসই করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

টেকসই এবং মানসম্মত কাজের জন্য ইটের গুণগতমান একটি কারণ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইটের মান ঠিক রাখার জন্য সভা করে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নিম্নমানের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অনেকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, সব কর্মকাণ্ড মনিটরিং করার জন্য মন্ত্রণালয় এবং এলজিইডি থেকে টিম গঠন করা হয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়মের অভিযোগ এলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মিস নাটালী শুয়ার্ড এবং ইউএনডিপির ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি মিস ভ্যান ন্যাগুয়েন।

এসএইচআর/এসএম