বাংলাদেশ-ভারত অংশীদারিত্বকে মূল্যায়ন করে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত মূল্যায়ন করে বলে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যাম্বাসেডর কেলি কেইডারলিং। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি চালাবে।
মৈত্রী দিবস উপলক্ষে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেলি কেইডারলিং এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞাপন
দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সম্মতি অনুসারে ১৮টি বিদেশি রাজধানীতে ঐতিহাসিক ‘মৈত্রী দিবস’-এর যৌথ স্মরণের অংশ হিসেবে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সিনিয়র ডিরেক্টর মিস সুমনা গুহ, ইউএস ফরেন সার্ভিস অ্যাম্বাসেডরের ডিরেক্টর জেনারেল মার্শা বার্নিকাট এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি মার্কিন-ভারত বিজনেস কাউন্সিল নিশা বিসওয়ালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কেলি কেইডারলিং আরও জানান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে থাকা স্থায়ী বন্ধুত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করে।
স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. সহিদুল ইসলাম স্বাধীনতার লড়াইয়ে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ করতে ও অটুট নেতৃত্বের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক সমর্থন ও সহযোগিতার ধারায় একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তারাজিৎ সিং সান্ধু একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হচ্ছে। কারণ দুই দেশের মধ্যে বহুদিন ধরে চলমান বিষয়গুলো সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমাধান করা হয়েছে। তিনি এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবাদ এবং কোভিড-১৯ মহামারির মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উভয় দেশের একসঙ্গে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এনআই/এমএইচএস