সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

বেশ কিছুদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায় ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে তার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যও ভাইরাল হয়।

গত রোববার (৫ ডিসেম্বর) রাতে একটি ফেসবুক পেজে লাইভে এসে  ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘তারা শিষ্টাচারের সংজ্ঞাটা আমাদের শেখাতে চাচ্ছে। তসলিমা নাসরিনের মতো অনেক তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশ আছে, দুঃখ লাগে কোনটা জানেন? এরা আবার জয় বাংলার কথা বলে। এরা আবার ছাত্রলীগ করছে নাকি! এরা নাকি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। এরা নাকি আবার নেত্রী ছিল কোন কোন হলের। কেউ বলে শামসুন নাহার হল কেউ কেউ বলে রোকেয়া হল। বিভিন্ন হলের নাকি নেত্রী-টেত্রী ছিল।’
 
লাইভে তিনি বলেন, ‘কিন্তু তারা রাতের বেলা নিজেদের হলে থাকতেন না। ঘুমাতেন হোটেলে হোটেলে। কারণ ফাইভ স্টার হোটেলে থাকার মজা, আর রোকেয়া হল শামসুন নাহার হলে থাকাটা কি এক কথা? আমি এর চেয়ে বেশি বললে মিছিল শুরু হয়ে যেতে পারে। আমি আর বেশি কিছু বলব না।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিট খ ইউনিটের প্রথম ৩০০ জনের মধ্যে ছিলাম। ভর্তি হওয়ার সাত দিনের মাথায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের আমি বলতাম, তোদের ওইখানে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে) প্রসাব করার টাইমও আমার নাই।’

এদিকে ডা. মুরাদ হাসানের এমন মন্তব্যের পর প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে প্রত্যাখ্যান করেন ঢাবি ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন বর্তমান এবং সাবেক নেত্রী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুতা মিছিল ও তার কুশপুতুল দাহ করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। 

জেডএস