গত দুই দিনের ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকায়। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই রাজধানীর কর্মজীবী মানুষ ছুটছেন গন্তব্যে। বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে কারো মাথায় ছাতা, কারো গায়ে জড়ানো রেইনকোট। 

একদিকে বৃষ্টি যন্ত্রণা অন্যদিকে গণপরিবহন না পাওয়ার দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে শুরু হয়েছে ঢাকাবাসীর সকাল। গন্তব্যের যান না পেয়ে সময় বাঁচাতে অনেকে হাঁটছেন। 

সকাল ৮টায় রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কচুক্ষেতসহ আশপাশের এলাকায় সরেজমিন ঘুরে গণপরিবহন সংকট, সেই সঙ্গে মানুষের দুর্ভোগ লক্ষ্য করা গেছে। 

কচুক্ষেত বাজারের মূল সড়কে প্রাইভেটকারের আধিক্য দেখা গেছে। মেলেনি বাসের দেখা। চোখে পড়ল রিক্সা, অটোরিক্সা, লেগুনা ও মোটরসাইকেলের। 

বনানী যাওয়ার জন্য কোনো বাস না পেয়ে আক্ষেপ করে যাত্রী মুনমুন বেগম বললেন, শেষপর্যন্ত বুঝি পায়ে হেঁটে যেতে হবে, আমি হাঁটছি। 

কচুক্ষেত বাজার সংলগ্ন সড়কে সকাল আটটা দশ মিনিট থেকে ৮টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত সারি সারি প্রাইভেটকার দাঁড়িয়েই ছিল। যানজটের কারণে নড়ছে না কোনো যান। প্রাইভেটকার চালক মইনুদ্দীন আহমদ বললেন, বৃষ্টি হলে রাস্তায় গাড়ির চাকা যেন চলেই না।

মিরপুর ডিওএইচএস থেকে প্রাইভেটকার চালিয়ে এই সড়ক ধরে কাকলি এলাকায় যাচ্ছিলেন নুর ইসলাম। যানজটে আটকে থেকে বৃষ্টিস্নাত শীতের সকালেও তিনি যেন ঘামছিলেন। বললেন, কি গরম কি শীত, ঢাকার রাস্তায় যানজট থেকে মুক্তি নেই। 

ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল কালাম ঢাকা পোস্টকে জানান, গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে ঢাকায় গণপরিবহন চলাচল প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। 

এদিকে বাস-অটোরিকশাসহ গণপরিবহন চলাচল কমে যাওয়ায় কর্মজীবী মানুষকে গন্তব্যে যেতে দুর্ভোগ সঙ্গে নিয়েই চলতে হচ্ছে।      ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানিয়েছেন, উবার-পাঠাওসহ অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা বৃষ্টির কারণেও অপ্রতুল।

পিএসডি/জেডএস