চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ১৫.২ মিলিমিটার বৃষ্টি, জনদুর্ভোগ
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে রোববার থেকে চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে যেন বৃষ্টির মাত্রা আরেকটু বেড়েছে। ফলে ঘর থেকে বের হওয়া খেটেখাওয়া মানুষজন এবং অফিসগামীদের ভোগান্তি বেড়েছে। কিছুটা শীতের আবহ থাকায় রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যাও প্রতিদিনের তুলনায় কম। এ সুযোগে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় হাঁকা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। বাধ্য হয়েই বাড়তি ব্যয়ে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মাজহারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রামে ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। বৃষ্টি হওয়ায় বেড়েছে শীতের পরিমাণ। ফলে বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা ও ভ্যানচালতে গিয়ে কষ্টে পড়েছে চালকরা।
সুমাইয়া সুলতানা নামে একজন শিক্ষার্থী ঢাকা পোস্টকে বলেম, কোচিংয়ের জন্য চকবাজারে গিয়েছিলাম। সকালে বের হয়ে দেখি রাস্তায় রিকশা কম। এনায়েতবাজার থেকে চকবাজার রিকশা ভাড়া ৫০ টাকা। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ৬০ টাকা নিয়েছে। আসার পথে চকবাজার থেকে টেম্পুতে করে কাজির দেউড়ী আসি। কিন্তু টেম্পু না পাওয়ায় রিকশা করেই আসতে হলো।
জিকরুল ইসলাম নামে একজন বলেন, সকালে জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছিলাম। সঙ্গে ছাতা ছিল না। ফলে ভিজেই গন্তব্যে যেতে হয়েছে।
আবদুল করিম নামে এক রিকশাচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টির মধ্যেও রাস্তায় বের হতে হয়েছে। দিনে যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চলে। বৃষ্টিতে শীত বেড়েছে তারপরও টাকার জন্য রিকশা চালাতে হচ্ছে। তবে রাস্তায় মানুষ কম মনে হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ উপকূলে আসার আগেই দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপ হিসেবে এটি সোমবার মধ্যরাতে ভারতের ওডিশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশিরভাগ এলাকার আকাশ পরিষ্কার হতে থাকবে। এছাড়া তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার রয়েছে। দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বেড়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। সমুদ্রে অবস্থানরত নৌযান ও মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
কেএম/এসএম