মহাসড়ক সংলগ্ন স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা এবং সড়ক দুর্ঘটনামুক্ত রাখার বিষয়ে ঢাকায় জাতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা 'গ্লোবাল অ্যালায়েন্স এনজিওস ফর রোড সেফটি'র সহযোগিতায় যৌথভাবে এই সংলাপ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে একক আত্মমানবিক উন্নয়ন সংস্থা এবং সেফ রোড কনসালটেন্ট।

গত শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা মহাসড়কের কাছে অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‍শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিরাপদ করতে বিজ্ঞান সম্মত গতিরোধক, ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় চলাচল ব্যবস্থা প্রণয়ন ও পাঠ্যপুস্তকে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি পুরোপুরি অন্তর্ভুক্তির জোর দাবি জানান। সড়ক ও মহাসড়কে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় সংলাপে।

ব্র্যাকের সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিচালক আহমেদ নাজমুল হুসেইন বলেন, নিরাপদ সড়ক প্রতিষ্ঠার জন্য দক্ষ চালক তৈরি করতে হবে। এজন্য ব্র্যাক বহু আগেই কর্মসূচি শুরু করেছে। সরকারও চাইছে দক্ষ গাড়ি চালক তৈরি করতে। এজন্য প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশপাশি স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিআরটিএ'র পরিচালক (অপারেশন) লোকমান হোসেন মোল্লা বলেন, সড়ক নিরাপদ রাখতে সওজ অধিদফতর বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে প্রয়োজনীয় চিহ্ন হালনাগাদ করে থাকে। আমরাও দরকার হলে তাদের সহযোগিতা করে থাকি। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নতুন একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়েও আমরা কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেফ রোড কনসালটেন্টের চেয়ারম্যান ও কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ইঞ্জি. মো. হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক রমাপ্রসাদ বাবু, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, জাতীয় সংলাপের মূল প্রতিপাদ্য উপস্থাপন করেন ইঞ্জি. মো. আবুল হোসেন। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একক আত্মমানবিক উন্নয়ন সংস্থা এর নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াহেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান নুর নবী শিমু। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন খাতের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

পিএসডি/জেডএস