চট্টগ্রামের খুলশী থানার ঝাউতলা রেলক্রসিংয়ে ডেমু ট্রেনের ধাক্কায় তিনজন নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই কমিটিকেই আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঝাউতলা রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে রেলওয়ের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাসান চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, রেল বারটি ফেলা না ফেলা নিয়ে আমরা দুই ধরনের বক্তব্য পাচ্ছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল গফুরকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবেন। এ ঘটনার সঙ্গে কারো গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের খুলশী থানার ঝাউতলা রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক ট্রাফিক পুলিশসহ তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।

ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান। নিহতরা হলেন, ট্রাফিক উত্তর বিভাগের কর্মরত কনস্টেবল মনির উদ্দিন ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাত্রী সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদ (৩০) ও পাহাড়তলী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাতরাজ উদ্দিন শাহিন।

শাহিনুজ্জামান বলেন, ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে ষোলশহর থেকে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের দিকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও বাসকে ধাক্কা দেয় একটি ডেমু ট্রেন। এ সময় রেল ক্রসিংয়ের গেটবারটি লাগানো হয়নি। ফলে সিএনজি অটোরিকশা ও বাস রেললাইনে চলে আসে। দুর্ঘটনার সময় ট্রাফিক পুলিশ মনির রেললাইন থেকে গাড়িগুলোকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন। ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ধুমড়ে-মুচড়ে গেছে।

কেএম/এসকেডি