প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তিকরণে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের তাগিদ
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও অন্তর্ভুক্তি টেকসই উন্নয়ন অর্জনের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজন সমাজে বিদ্যমান নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, আর এক্ষেত্রে দরকার সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সবার সমন্বিত উদ্যোগ।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ব্র্যাক আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
আগামী ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি দিবসকে সামনে রেখে এই আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আক্তার, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম।
আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ ভাগের ১ ভাগই শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি। এদের বেশিরভাগই আর্থ-সামাজিক কারণে মূলধারার উন্নয়ন কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভূক্তকরণ এবং তাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে প্রয়োজন প্রতিবন্ধীবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন ও এর দ্রুত বাস্তবায়ন। এক্ষেত্রে সকলের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, আমাদের কিছু সামাজিক ভাবনা চিন্তা আছে যেমন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বিশেষ কিছু করতে পারবেন না বা তাদের উচ্চ মাত্রার কাজ দেয়া যাবে না, এমন ধারণাকে ভাঙতে হবে যাতে করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উন্নয়নের উদ্যোগগুলো হয় উদাহরণমুলক।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ জানিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আক্তার বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বুঝাতে হবে যে তিনি সম্ভাবনা এবং তিনিই সফলতা এবং এজন্য দরকার মাইন্ডসেট পরিবর্তন। সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য আইন করেছে, বিধি করেছে, নীতিমালা করেছে এবং জেলা উপজেলায় বিভিন্ন কমিটি করেছে তবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উন্নয়ন এককভাবে সম্ভব নয়। এখানে প্রয়োজন সরকার এবং বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রয়াস।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে কর্মে নিয়োগ দিতে হবে, নেতৃত্ব দিতে হবে, তার নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করতে হবে এবং সে যাতে প্রতি ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে সে জন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।
সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম সমাজে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুযোগ নিশ্চিত এবং তাদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি তাদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে উদ্যোক্তা, শিল্পপতি এবং বেসরকারি নিয়োগকর্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এ সময় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, এডিডি ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর শফিকুল ইসলাম, সিআরপিয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি টেইলর, ব্র্যাকের পরিচালক মোর্শেদা চৌধুরী ও মারিয়া হক।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের হেড অফ মিডিয়া অ্যান্ড এক্সটার্নাল রিলেশন্স রাফে সাদনান আদেল।
আইএসএইচ