রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারায় এসএসসি পরীক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন ইসলাম। মৃত্যু সংবাদ শুনেই ভেঙে পড়েন মাইনুদ্দিনের বাবা-মা। বার বার একই কথা বলছিলেন তারা- কি এমন পাপ করেছিল সে যে জন্মদিনেই মরতে হলো।

মাইনুদ্দিনের বাবা আব্দুর রহমান ভাণ্ডারী জানান, গতকাল (সোমবার) মাইনুদ্দিনের জন্মদিন ছিল। সে ২৯ নভেম্বরে জন্মগ্রহণ করেছিল। আর্থিক অবস্থার কারণে জন্মদিন উদযাপন করেনি পরিবার।

শোকে বিহ্বল বাবা-মাকে এখনও নিথর মাইনুদ্দিনের মুখ দেখতে দেয়নি পরিবারের অন্য সদস্যরা।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে মাইনুদ্দিন ছোট। এক বোন বাক প্রতিবন্ধী। আর বড় ভাই বনশ্রীতে একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন গাড়ির চালক হিসেবে কর্মরত আছেন।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।

ঘটনার পর অনাবিলের চালককে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে ঘাতক বাসের হেলপারকেও আটক করেছে র‍্যাব।

এআর/এসএসএইচ