মাঝ সড়কে নামিয়ে দেয় রাইদা, পেছন থেকে চাপা দেয় অনাবিল
রাজধানীর রামপুরা এলাকায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দীন নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার বিষয়ে এক প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তার নাম রাকিব।
তিনি বলেন, আমরা ৪-৫ জন রামপুরার ওই সড়কের পাশেই ছিলাম। দেখলাম যে রাইদা পরিবহনের একটি বাস রামপুরা থেকে মালিবাগের দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে একটি ছেলে রাইদা বাসে উঠতে চেষ্টা করে। বাসে ওঠার পর কোনো কারণে সঙ্গে সঙ্গে নামিয়ে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
বাঁ পাশ দিয়েই বেপরোয়া গতিতে অনাবিল পরিবহনের একটি বাস আসছিল। বাসটি ওই ছেলেকে চাপা দেয়। এরপর আমরা বন্ধুরাসহ মোট ২০-২২ জন বাসটিকে রামপুরা থেকে মালিবাগের দিকে ধাওয়া করি। প্রায় এক কিলোমিটার যাওয়ার পর আমরা বাসটি আটকে দিই। পরে জানালা দিয়ে চালক ও দরজা দিয়ে হেল্পার পালিয়ে যায়।
রাকিব বলেন, ছেলেটিকে চাপা দেওয়ার সময় রাইদা ও অনাবিল উভয় বাসই বেপরোয়া ছিল। মনে হচ্ছিল তারা প্রতিযোগিতায় বাস চালাচ্ছে।
রাত পৌনে এগারোটার দিকে রামপুরা বাজার এলাকায় একরামুন্নেসা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দীন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মারা যায়। এর পরপরই উত্তেজিত জনতা সড়ক অবরোধ করে বাসে আগুন দেয়। একে একে আটটি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এমএসি/এআর/আরএইচ