চট্টগ্রামে সেই দুটি ভবন পরীক্ষা করতে চিঠি দেবে সিডিএ
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের খাজা রোডের সাবান ঘাটা ও চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় ‘হেলে’ পড়া ভবন দুইটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না তা বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা করাতে মালিক পক্ষকে চিঠি দেবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। রোববার (২৮ নভেম্বর) এ চিঠি দেওয়া হবে। ভবন মালিককে পরীক্ষার ফলাফল চিঠি পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে জানাতে হবে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘খাজা রোডের দিকে একটি এবং চকবাজারের কাপাসগোলার দিকে হেলে পড়া ভবনটি আজ (শনিবার) আমাদের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। ভবন দুইটি আগে থেকেই কিছুটা হেলে পড়ে ছিল। শুক্রবারের ভূমিকম্পে আরও হেলে পাশের আরেকটি ভবনের সঙ্গে লেগে গেছে।’
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘রোববার আমরা ভবন দুইটির মালিককে চিঠি দেবো ভবনগুলো পরীক্ষা করে দেখার জন্য। এ ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কি না তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করাবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে। চুয়েটসহ যেকোনো স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ দিয়ে। কাকে দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে তা আমরা বলে দেবো। তাদের মাধ্যমে ১০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করিয়ে আমাদের ফলাফল দিতে হবে। যদি বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা না দেন তাহলে ভবনগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে তা ভাঙার জন্য সিটি করপোরেশনের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।’
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ভোরের ভূমিকম্পে চট্টগ্রামের খাজা রোডের সাবান ঘাটা এলাকার ৪ তলা হালিমা ভবন পাশের আরেকটি ভবনের সঙ্গে হেলে পড়ে। অন্যদিকে কাপাসগোলা এলাকায় রহমান ভিলা নামে একটি ভবন পাশের ফরিদ মিয়ার মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনে হেলে পড়েছে। ভবন দুটির তিন তলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অংশ একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে আছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চট্টগ্রাম থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৪২ কিলোমিটার।
ইউরোপিয়ান সিসমোলজিক্যাল আর্থকোয়াক সেন্টার (ইএসএমসি) বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।
তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য মতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের হাখা শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিমে এবং রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.১। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২.৮ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।
এইদিকে শনিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে ৩টা ৪৭ মিনিট ১৬ সেকেন্ডে চট্টগ্রামে মৃদু ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৪ দশমিক ২ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
কেএম/এসকেডি