২৭ দিন পর প্রাণ ফিরেছে চমেকে
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে ২৭ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (২৭ নভেম্বর) থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। সকাল থেকে চলছে বিভিন্ন বর্ষের ক্লাস। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ২৩ নভেম্বর একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক থেকে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে ক্যাম্পাস খুললেও বন্ধ রয়েছে ছাত্রদের ছাত্রাবাস। তবে খুলে দেওয়া হয়েছে ছাত্রী হোস্টেল।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেন, র্দীঘদিন কলেজ বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাস খোলায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ শান্তিপূর্ণভাবেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পেরেছে। যেহেতু কিছু শিক্ষার্থীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে, মনে হচ্ছে এই বিষয়টি দেখে অন্যরা সতর্ক হবে। আবার কেউ সংঘর্ষে লিপ্ত হলে আরও বড় ধরনের শাস্তি পেতে হতে পারে। এখানে যারা পড়তে এসেছে সবাই মেধাবী। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন আর সংঘর্ষে লিপ্ত না হয় ।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে সভা-সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ছেলেদের ছাত্রাবাসে নতুন করে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। ছাত্রদের থেকে আবেদন নেওয়া হবে। যারা আবেদন করবে তাদের থেকে যাচাই-বাছাই করে হলে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর ছেলেদের ছাত্রাবাস খুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর রাত ও ৩০ অক্টোবর চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। গত ২৩ নভেম্বের চমেক একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বিভিন্ন মেয়াদে ৩০ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তখন চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তার বলেছিলেন, ৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনকে দুই বছর, দুজনকে দেড় বছর ও ২১ জনকে এক বছরের জন্য। তারা কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও তারা তা করেছে। এছাড়া নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এসব কারণে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
কেএম/জেডএস