‘অরাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি’
বিএনপি নানান অজুহাত ও অরাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আন্দোলনের নামে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা আন্দোলন করে, ধর্মকে ব্যবহার করে ধর্মান্ধদের সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তাদের মনে রাখতে হবে, ক্ষমতায় আসতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের মন জয় করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণের মিলন চত্বরে শহীদ ডা. মিলন দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, চোরাগলি পথে অগণতান্ত্রিকভাবে ও ধর্মকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চায়, তারা এ গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। গণতন্ত্রকে নির্মূল ও নির্বাসনে পাঠাতেই তারা অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।
ধর্মান্ধরা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ উল্লেখ করে ড. রাজ্জাক বলেন, ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের মানুষকে বার বার আন্দোলন করতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। পাকিস্তান আমলে বার বার গণতন্ত্রের ওপর আঘাত এসেছে। দুঃখজনক হলো, স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৯০ সালেও স্বৈরাচার দমন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ ডা. মিলন, শহীদ নুর হোসেনসহ অনেককে প্রাণ দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ পেরিয়েই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ গণতন্ত্র রক্ষায় আমাদের সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। ধর্মান্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেন আর কোনো দিন ক্ষমতায় আসতে না পারে, এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বিএমএর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটু মিয়া প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
এসএইচআর/এমএইচএস