বন্দরনগরী চট্টগ্রামের খাজা রোডের সাবান ঘাটা ও চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় দুটি ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার ভোরে হওয়া ভূমিকম্পে ভবন দুটি হেলে পড়েছে। 

শুক্রবার ( ২৬ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘খাজা রোডের দিকে একটি এবং চকবাজারের কাপাসগোলার দিকে আরেকটি ভবন হেলে পড়েছে বলে খবর পেয়েছি। এ ভবনগুলো পাশের একটি ভবনের সঙ্গে লেগে আছে বলে জানা গেছে। আমাদের অথরাইজড অফিসার ভবনগুলো পরিদর্শনে গেছেন। ভবনগুলো দেখে আসার পর বিস্তারিত বলতে পারব।’

এদিকে খাজা রোডের হালিমা ভবন নামে ৪ তলা ভবন হেলে পড়ার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ওই ভবন পরিদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কালুরঘাট স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার বাহার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘খাজা রোডে পাশাপাশি দুটি ভবন একই মালিকের। এখানে একটি ভবনের সঙ্গে আরেকটি ভবন লেগে আছে। পরিদর্শন করে মনে হয়েছে একটি ভবনের সানসেট আরেকটি ভবনের ভেতরে ঢুকে গেছে। কিন্তু মালিকপক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ভবন দুটি তৈরি করার সময় এভাবে করা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘মালিকপক্ষ দাবি করছে সিডিএতে এ ভবনের প্ল্যান এভাবেই পাস করানো হয়েছে। এখন সিডিএ এসে বলতে পারবে একটা ভবন আরেকটার উপর হেলে পড়েছে কি না। বিষয়টি সিডিএকে জানিয়েছি। তারা এসে বলতে পারবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ কি না।’

অন্যদিকে কাপাসগোলা এলাকায় রহমান ভিলা নামে একটি ভবন পাশের ফরিদ মিয়ার মালিকানাধীন পাঁচতলা ভবনে হেলে পড়েছে। ভবন দুটির তিন তলা থেকে ছাদ পর্যন্ত অংশ একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে আছে।

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়।

ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল চট্টগ্রাম থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৪২ কিলোমিটার।

ইউরোপিয়ান সিসমোলজিক্যাল আর্থকোয়াক সেন্টার (ইএসএমসি) বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি মিয়ানমার-ভারত সীমান্তে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।

তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য মতে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের হাখা শহর থেকে ১৯ কিলোমিটার উত্তর উত্তর-পশ্চিমে এবং রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.১। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২.৮ কিলোমিটার গভীরে ছিল এর অবস্থান।

কেএম/এসকেডি/জেএস