আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনতে আমরা বলেছি। কিন্তু তারা সেটা নিয়ে চিন্তাও করছে না, কোনো পদক্ষেপও নিচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, আমি একাধিকবার সংসদ নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আমি বলেছি, আজ ওনার (খালেদা জিয়া) শারীরিক যে অবস্থা, ওনাকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অনুমতি দিতে অসুবিধা কোথায়? আপনি তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগটি দিন। এতে আপনি সম্মানিত হবেন। দেশের মানুষ আপনাকে অবশ্যই সম্মান করবে। তার (খালেদা জিয়া) যে বয়স, তার যে অবস্থা, এই অবস্থায় তাকে এটা বিবেচনা করা উচিত।

হারুনের কথার জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সবাই বলে আমাদের নেত্রীকে এখনই বিদেশে পাঠাতে হবে। ওনার চিকিৎসা করাতে হবে বিদেশে। আমাদের দেশের চিকিৎসা খুব খারাপ। খালেদা জিয়া তিন-তিনবার হাসপাতালে গেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। আমরা বলেছি, বিদেশ থেকে যদি চিকিৎসক আনতে চান, আনতে পারেন। সেই কথা চিন্তাও করবে না, পদক্ষেপও নিবে না। শুধু বলবে বিদেশ পাঠিয়ে দেন।’ 

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতা হারুন সাহেব বলেছেন বাঙালি খালি বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ছুটে। ওনারা তো ২৬ বছর ক্ষমতায় ছিলেন, আমি বলব সেবা করেন নাই, শাসন করেছেন। ওনারা কী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তৈরি করেছেন? মানুষ বিদেশে গিয়ে স্বাস্থ্য সেবা নিবে না কেন? এখনো বাংলার গরিব জনগণ চায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে বা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের চিকিৎসা হোক। কারণ তারা বলেন, কম খরচে ও বিনা পয়সায় সেখানে চিকিৎসা পাওয়া যায়। ওনারা তো দেখেন খালি পশ্চিম দিক। সেটা থেকে বের হতে পারছেন না।

১৯৯৬ সালের পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতা গ্রহণকে ‘সোনালি অধ্যায়’ দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নিয়ে আইনের শাসন চালু করে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করে।

তিনি বলেন, একটা উন্নয়ন সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যায় না। এটা ভাঙা সুটকেস থেকে আলাউদ্দিনের চেরাগ নয় যে, কোকো জাহাজ হয়ে যাবে। এটা করতে হলে প্রথম ভৌত অবকাঠামো দাঁড় করাতে হয়। এই ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী সেটা করেছেন। যার ফল আগামী ১২ বছরে দেখবেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ে বিএনপি নেতা হারুনের বক্তব্য প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, একজন সংসদ আরপিওটা পড়ে আসেননি। তিনি বলেন, ওনারা কীভাবে নির্বাচিত হয়ে আসেন। আরপিওতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীর বিধান আছে। সেটা কেমন করে হয়? যখন নির্বাচনের শিডিউল হয়, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত কোনো প্রতিযোগী না থাকে, তাহলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। এটা আইনে আছে। ওনাকে আমার এইটা দেখাতে হবে, এটা তো আমার জানা ছিল না।

এইউএ/এমএইচএস/জেএস