১০ দফা দাবি আদায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মূল ফটক আটকে বিক্ষোভ করছে নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগর ভবনের গেট আটকে তারা উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীরা নগর ভবনের সামনের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে ১০ দফা দাবি পূরণে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয় নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ফের সড়কে নামার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। দুপুর পৌনে ২টা নাগাদ তারা তাদের দাবি জানিয়ে গুলিস্তান ও মতিঝিলের সড়ক ছেড়ে চলে যান। তবে দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রাখায় ওইসব এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।

গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে শিক্ষার্থীরা তাদের ১০টি দাবি ঘোষণা করেন। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে-

১. যথাযথ তদন্ত করে আমার ভাইয়ের (শিক্ষার্থী নাঈম) হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া, ২. জেলা শহরের বিভিন্ন রুটে শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু, ৩. স্কুল-কলেজের সামনে হর্ন ও ওভারস্পিডিংয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে জরিমানা ও প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের অধিকার দেওয়া, ৪. সব শিক্ষার্থীর হাফ পাস নিশ্চিত করা, ৫. প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে একাধিক স্পিড ব্রেকার নির্মাণ, ৬. শহরের প্রতিটি অচল ট্রাফিক লাইটের সংস্করণ এবং সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা, ৭. ট্রাফিক আইনের সঠিক প্রয়োগ, ৮. জেব্রা ক্রসিংয়ে পূর্ণাঙ্গ ব্যবহার নিশ্চিত করা, ৯. চলন্ত বাসে যাত্রী ওঠানামা করালে প্রত্যেক বাসকে আইনের আওতায় আনা এবং ১০. সর্বোপরি নিরাপদ সড়ক আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করা।

রাজধানীর গুলিস্তান গোলচত্বরে হল মার্কেটের সামনে বুধবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ডিএসসিসি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নাঈম হাসান (১৭) নামে নটরডেম কলেজের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি কলেজের মানবিক শাখার ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ওই ঘটনার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে দুর্ঘটনায় জড়িত প্রকৃত আসামির বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

এএসএস/এমএইচএস