কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন-১২১ মানদণ্ড অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানিয়েছে গ্রীন বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাজরীন ট্র্যাজেডির ৯ বছর অতিবাহিত হলেও ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও পর্যন্ত এর সঠিক বিচার পাননি। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১১৩ জন শ্রমিক-কর্মচারী প্রাণ হারান। আহত হয়েছিলেন প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিক। অগ্নিকাণ্ড মনে হলেও প্রকৃত অর্থে এটি মালিকপক্ষের একটি সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ।
তারা বলেন, আমরা তাজরীন হত্যাকাণ্ডের দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তি, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া শ্রমিকের পরিবারকে আইএলও কনভেনশন-১২১ মানদণ্ড অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহত শ্রমিকদের সু-চিকিৎসা ও পুনর্বাসন চাই।
প্রায় ২ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী পঙ্গু হয়ে আজও মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই ঘটনায় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে অনেক পরিবার। সেসব নিঃস্ব পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান ফেডারেশনের নেতারা।
দাবি জানিয়ে তারা বলেন, নিহত শ্রমিকের স্বজনদের আর্থিক ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি আহত শ্রমিকদের আজীবন চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্য ওষুধ সরবরাহ এবং খালি পড়ে থাকা তাজরীন গার্মেন্টসের ভবনে তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানাই। তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডের ৯ বছর পার হলেও ক্ষতিপূরণের দাবিতে শ্রমিকদের আজও রাস্তায় দাঁড়াতে হচ্ছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা মো. ফরিদ উদ্দীন, রোজিনা আক্তার সুমি, রাবেয়া ইসলাম, মো. তাহেরুল ইসলাম, সংগঠক সেলিনা, কল্পনা, নুরজাহান জোসনা, সালমা, রোকসানা, আমেনা, সোনিয়া প্রমুখ।
এমএইচএন/এমএইচএস