চমেকে সংঘর্ষের তদন্ত প্রতিবেদন দিল কমিটি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) সম্প্রতি ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। তবে প্রতিবেদনে কী আছে সে বিষয়ে জানা যায়নি।
সোমবার (২১ নভেম্বর) সিলগালা করা তদন্ত প্রতিবেদনটি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তারের কাছে জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান চমেকের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মতিউর রহমান খান। এসময় তদন্ত দলের পাঁচ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন চমেকের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার। তিনি বলেন, তদন্তকারী দল সিলগালা প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখনও পড়ে দেখা হয়নি। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, কলেজ খুলে দেওয়া ও হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। এসব বিষয়েও আগামীকাল একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেদনে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কোনো সুপারিশ করা হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগের দুই পক্ষকে দায়ী করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি মূলত ওই দিনের সংঘর্ষে আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
গত ২৯ অক্টোবর রাতে এবং ৩০ অক্টোবর দিনে চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন প্রতিপক্ষের আঘাতে মারাত্মক ভাবে আহত হন মাহাদি জে আকিব নামের এক শিক্ষার্থী। চিকিৎসকরা তখন জানান, আকিবের মাথার হাড় ভেঙে গেছে এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এরপর অপারেশন করে তার মাথার হাড়ের একটি অংশ খুলে পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়। মাথার ব্যান্ডেজে তখন লিখে রাখা হয়, ‘হাড় নেই, চাপ দেবেন না’। ওই হাড় আরেকটি অপারেশনের মাধ্যমে আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে বলে জানান চিকিৎসকরা। আহত আকিব দীর্ঘদিন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরেছেন। ৩০ অক্টোবরের সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হল বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
আকিবের আহত হওয়ার ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে ৩০ অক্টোবর রাতে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র তৌফিকুর রহমান। এ মামলায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেএম/জেডএস