ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস

চট্টগ্রাম মহানগরের ওয়াসার মোড়ে দায়িত্ব পালনকালে এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. ইমরানুজ্জামান।  সার্জেন্ট ইমরান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। 

সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তিনি ছিনতাইকারীকে আটক করেন এবং পরে কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও একজনকে আটক করেছে। 

ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. ইমরানুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলাম। এমন সময় জিইসিতে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ওয়্যারলেসে বলেন, এক নারীর স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে মাইক্রোবাস নিয়ে পালাচ্ছিল এক দল ছিনতাইকারী। ওয়্যারলেসে তিনি পুনাক মোড়ের সাার্জেন্টকে গাড়িটি আটকাতে বলেন। এ কথা শুনে আমি ওয়াসার মোড়ে দাঁড়িয়ে যাই। 

তিনি বলেন, আমি দেখতে পাই জিইসি মোড়ের দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস দ্রুত গতিতে আসছে। তখন আমি সামনের গাড়িগুলোকে দাঁড়ানোর সংকেত দেই। সামনে অন্য গাড়ি দাঁড়িয়ে যাওয়ায় মাইক্রোবাসটি আর সামনে এগোতে পারেনি। এমন সময় গাড়িতে থাকা দুজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। দৌড়ে একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছি। 

আটক ব্যক্তি মাইক্রোবাসের চালক। তার নাম মো. ইসমাইল (৩৫)। তিনি ঢাকার লালবাগের বাসিন্দা হলেও থাকেন চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার সিডিএ ২৬ নম্বর এলাকায়। 

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, ছিনতাইকারী চক্রটি মাইক্রোবাস নিয়ে ঘুরে ঘুরে ছিনতাই করে। বিশেষ করে মেয়েদের গলার চেইন ও হাতের ব্যাগ ছিনতাই করে গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। 

তিনি আরও বলেন, ওয়াসার মোড়ে এক ছিনতাইকারীকে ট্রাফিক সার্জেন্ট আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। পরে আমরা আরও এক ছিনতাইকারীকে আটক করেছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

কেএম/আরএইচ