জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত অকৃত্রিম বন্ধু বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

সোমবার (২২ নভেম্বর) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে ২টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ১টি বাজেট সহায়তা সংক্রান্ত ঋণ চুক্তির জন্য মোট ২.৬৬ বিলিয়ন ডলারের বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মন্ত্রী। 

অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মি. ইতো নাকিও এর সঙ্গে বিনিময় নোট এবং বাংলাদেশে জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ মি. উহু হায়াকাওয়া নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময় অর্থ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, সিপিজিসিবিএল, সড়ক ও জনপদ অধিদফতর, পিজিসিবি, ডিএমটিসিএল, জাপান দূতাবাস এবং জাইকা বাংলাদেশ অফিসের 
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত অকৃত্রিম বন্ধু দেশ। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালের ঐতিহাসিক জাপান সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এটি ছিল অংশীদারিত্বের সূচনা যা দিনে দিনে শক্তিশালী হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সড়ক ও যমুনা নদীর উপর রেল সেতু, ঢাকা শহরের মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল, মাতারবাড়ি পাওয়ার প্লান্ট ও মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরসহ চলমান বেশ কয়েকটি আইকনিক মেগা প্রকল্পে জাপান সরকারের সম্পৃক্ততার জন্য দেশটির সরকার অবশ্যই আমাদের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতার দাবিদার।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির শুরুতে বাজেট সহায়তার আহ্বানে তারা খুবই দ্রুত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। জাপান সরকার গত বছর বাংলাদেশকে প্রথমবারের মতো ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট সহায়তা ঋণ দিয়েছে এবং সেই সামঞ্জস্যতায় আজকে ৩৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ‘কোভিড-১৯ ক্রাইসিস রেসপন্স ইমার্জেন্সি সাপোর্ট লোন ফেজ-২’ স্বাক্ষরিত হচ্ছে। পাশাপাশি এটাও খুবই আনন্দের যে, ৪২তম ইয়েন লোন প্যাকেজের ১ম ধাপের অধীনে ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের দুটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।  

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, জাপান সরকারের ৪২তম ওডিএ লোন প্যাকেজ (১ম ব্যাচ) এর আওতাধীন বিনিয়োগ প্রকল্প দুটির জন্য স্বাক্ষরিত ঋণের বাৎসরিক সুদের হার নির্মাণ কাজের জন্য ০.৬০ শতাংশ, পরামর্শক সেবার জন্য ০.০১ শতাংশ, এককালীন ০.২ শতাংশ। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। বাজেট সাপোর্ট ঋণের বাৎসরিক সুদের হার ০.৫৫ শতাংশ, এককালীন ০.২ শতাংশ। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। 

এসআর/জেডএস