করোনার কারণে যে ব্যাকলক হয়েছে, তা কাটিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আগের অবস্থায় নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২২ নভেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দিয়েছেন। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

এর আগে সকালে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে তিনি এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

এজেন্ডার বাইরে প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্দেশনা ছিল কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু কোভিড সংক্রমণের ২ বছর হয়ে গেছে। সেজন্য আমাদের একটা প্রোটোকলও ডেভেলপ হয়ে গেছে। সুতরাং সবাইকে আরেকটু এনহ্যান্স কাজ করে আমাদের ব্যাকলক যদি থাকে সেটা...ডেভেলপমেন্ট ফেইজটা আগের মতো নিয়ে যেতে হবে।’

‘শুধু ডেভেলপমেন্ট না। সব ধরনের কাজ...যাতে আমাদের গ্রোথ রেটসহ সবকিছু যেন কোভিডের আগের রেটে ছিল, সেখান থেকে আবার প্রোগ্রেস করতে পারি।’

কোন কোন খাতে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবাইকে। যে ভাল করেছে তাকেও বলা হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় দেওয়া বিধি-নিষেধ এখনও কিছু কিছু রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ৩২টি জেলার সঙ্গে মিটিং করেছি। তাদের বলেছি, কমফোর্ট ও রিল্যাক্স হওয়ার কোনো স্কোপ নেই। সবাইকে এটেনটিভ থাকতে হবে। সোশ্যাল ডিসিটেন্সিংয়ের বিষয়ে কেয়ারফুল থাকতে হবে। কারণ আল্লাহ না করুক, আবার যদি এগ্রোভেট করে...। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা আছে।’

বঙ্গভবনে এবার ১৬ ডিসেম্বরের প্রোগ্রাম হচ্ছে না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রোগ্রাম হবে। সেখানে ফ্রি মিক্সিং হবে না। ফ্রি মিক্সিং টাইপের ম্যাসিং লেভেলের এগুলোকে ডিসকারেজ করা হচ্ছে।’

ইতোমধ্যে ৯ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতি মাসে ২ থেকে আড়াই কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে।’

এসএইচআর/এমএইচএস