প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বুয়েটের সেই শিক্ষককে অব্যাহতি
সরকারি পাঁচ ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নিখিল রঞ্জন ধরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২১ নভেম্বর) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞাপন
মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৫ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে তাকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়ার কারণে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে বিভাগের আরেক শিক্ষক ফেরদৌস সারওয়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) ১৫১১টি অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এই পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০০টি প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র ফেসবুকে পাওয়া যায়।
এ কারণে ৬ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় প্রশ্নফাঁসে জড়িত একটি চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পাশাপাশি বৃহস্পতিবারও দুইজনকে একই অপরাধে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দেওয়া বক্তব্যে উঠে আসে এই বুয়েট শিক্ষকের নামও। পরে পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়।
এইচআর/ওএফ