শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা বিপুল পরিমাণ সামগ্রী জব্দ
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। জব্দ করা সামগ্রীর মধ্যে ১৫৫১টি কম্বল (৪৫৫৭ কেজি), ৪৮৩টি জায়নামাজ ( ৪৭৬ কেজি), ১২০ কেজি বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী ও ২০০ কেজি বিভিন্ন প্রকার ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার শরিফ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস প্রশাসনের কঠোর নজরদারির কারণে শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের চেষ্টা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। জব্দ করা পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য আনুমানিক ২০ লাখ টাকা। এতে প্রায় ১৭ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, পাবনা রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এমজিএল কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের নামে মরিশাস থেকে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। কম্বল তৈরির কাপড় আমদানির ঘোষণা দিয়ে চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়েছিল। মরিশাসের পোর্ট লুইস বন্দর থেকে কোটা নাজের নামে জাহাজযোগে সংশ্লিষ্ট কন্টেইনারটি চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। পণ্য খালাসের লক্ষ্যে আমাদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রত্যয় ইন্টারন্যাশনাল ১৭ জুলাই বিল অব এন্ট্রি অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে নোটিং করে। কিন্তু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানটির অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে এ লক করা হয় যাতে খালাস করা না যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চালানটির কায়িক পরীক্ষা করা হয়।
গত ১৭ ও ১৮ নভেম্বর এ পরীক্ষা করা হয়। এ সময় কম্বলের কাপড়ের পরিবর্তে কম্বল, জায়নামাজ, বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্যদ্রব্যসহ প্রায় ৭৫ ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। এজন্য পুরো চালানের পণ্য জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কেএম/এসকেডি