আঞ্চলিক উদ্যোগকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ : রাষ্ট্রদূত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ যেকোনো আঞ্চলিক উদ্যোগকে স্বাগত জানায়, যা তার উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে এবং এ অঞ্চল ও এর বাইরেও বৃহত্তর মঙ্গল বয়ে আনে।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অংশীদারিত্বে বৃহস্পতিবার নেতৃস্থানীয় মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আটলান্টিক কাউন্সিল দ্বারা ‘আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশি দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশীসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এবং যেকোনো দ্বিপাক্ষিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাস করে।
ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন আটলান্টিক কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রের সিনিয়র উপদেষ্টা এবং ফিজিতে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ওসমান সিদ্দিক।
ওয়েবিনারে বক্তরা করোনা মহামারি এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ যে চিত্তাকর্ষক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নথিভুক্ত করেছে তার প্রশংসা করেন।
রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সংকট এ অঞ্চলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, যা দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতির বৃহত্তর একীকরণের পথে দাঁড়িয়েছে।
রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম কোয়াড, আরসিইপি, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত-বাণিজ্য অঞ্চল, তিস্তার পানি বণ্টন এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সীমান্ত হত্যা বিষয়ে মডারেটর ও দর্শকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
রাষ্ট্রদূত বক্তব্যে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য দেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি সংযোগ কেন্দ্রে রূপান্তর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেন।
তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কোভিড-১৯ সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক একীকরণকে উন্নীত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কেও তার চিন্তাভাবনা শেয়ার করেন।
সমাপনী বক্তব্যে মডারেটর ওসমান সিদ্দিক অতীত ও বর্তমানের মধ্যে কিছু অর্থনৈতিক সূচকের তুলনা করে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন।
এনআই/এসএসএইচ