পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষি খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি চলমান ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও কেনিয়া।

শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সফররত কেনিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান প্রশাসনিক সচিব আবাবু নামওয়ামদা। এ সময় উভয়পক্ষ পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষি খাত এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে একসঙ্গে কাজের বিষয়ে সম্মত হয়।

বৈঠকে কেনিয়ার প্রধান প্রশাসনিক সচিব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে অভিনন্দন জানান। তিনি একসঙ্গে দুই উদযাপনকে একটি বিশেষ মুহূর্ত বলে অভিহিত করেন। এছাড়া তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্জিত সাফল্যের প্রশংসা করেন।

বৈঠকে ড. মোমেন উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশ ও কেনিয়ার মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তিনি কেনিয়ার সচিবকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা এবং আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্পর্কে অবহিত করেন।

মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা মহামারির প্রভাব সত্ত্বেও শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।

মোমেন কেনিয়ার সচিবকে বলেন, বাংলাদেশের আইটি ও আইসিটি সেক্টরে দক্ষতা রয়েছে এবং সরকার জনগণকে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে। কৃষি উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষি গবেষণা ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি করেছে। বাংলাদেশ কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেনিয়াকে সুনীল অর্থনীতিতে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেন।

মোমেন আবাবুকে বলেন, জাপান ও ইউরোপের দেশগুলোতে মাছ, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি ও ঝিনুকের মতো মৎস্যজাত পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে।

বৈঠকে কেনিয়ার সচিব জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের ব্যাপক অভিজ্ঞতা থাকায় উভয় দেশই তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারে।

ড. মোমেন বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে কেনিয়ার সমর্থন চাওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী আইএমও এবং মানবাধিকার কাউন্সিল নির্বাচন প্রার্থিতায় কেনিয়াকে পাশে চান। কেনিয়ার সচিব রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে অব্যাহত সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।

এনআই/ওএফ