‘চট্টগ্রাম নগরীতে বিদ্যুতের তার যাবে মাটির নিচ দিয়ে’
চট্টগ্রাম নগরীর যত ঝুলন্ত বিদ্যুতের তার আছে তা অপসারণ করে মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (বিপু)।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর হোটেল রেডিসনে রিয়েল অ্যাস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) চট্টগ্রাম ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বড় শহরে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য। তিনি সব বিদ্যুতের লাইন মাটির নিচ দিয়ে নিতে বলেছেন। চট্টগ্রামে মাটির নিচ দিয়ে তার নিয়ে যাওয়ার নকশার কাজ শেষ হয়ে গেছে। দ্রুতই চট্টগ্রামের মেয়রের সঙ্গে বসা হবে কীভাবে রাস্তায় কাজ করা হবে সে বিষয় নিয়ে। আগামী বছর থেকে মাটির নিচ দিয়ে তার নেওয়ার কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ে আছে আমরা তা যাচাই-বাছাই করে দেখছি। আগামী দুই বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। এটি সম্পূর্ণ বিদেশি অর্থায়নে হবে ।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরও বলেন, গভীর সমুদ্র থেকে সরাসরি তেল চট্টগ্রামে নিয়ে আসার প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। এই প্রকল্পের কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এতে গভীর সমুদ্রে অবস্থান করা বড় জাহাজ থেকে মাত্র ১২ ঘণ্টায় তেল খালাস করা যাবে। যে জাহাজ থেকে তেল খালাস করতে ১৪ থেকে ১৬ দিন লাগত। এতে প্রতিবছর সরকারের ১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। প্রায় ১৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রের পাইপলাইন বসানো হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
তিনি আরও বলেন ইস্টার্ন রিফাইনারি দ্বিতীয় ইউনিট করার জন্য কথাবার্তা চলছে। কথাবার্তা চূড়ান্ত হলে ২০২২ সাল থেকে কাজ শুরু করতে পারব।
কেএম/এসকেডি