চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদে সোমালিয়াকে বাংলাদেশের প্রস্তাব
আফ্রিকার দেশ সোমালিয়াকে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক চাষাবাদে সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন সোমালিয়ার পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বালাল মোহাম্মদ কুসমান। এ সময় মোমেন এ প্রস্তাব দেন।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রস্তাবে সায় দেন সোমালিয়ান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কৃষি প্রতিষ্ঠা করা গেলে উভয়পক্ষ লাভবান হবে, কেননা সোমালিয়ায় প্রচুর অব্যবহৃত চাষের জমি রয়েছে।
বৈঠকে উভয়পক্ষ শিক্ষায় সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্মত হয়েছে। ড. মোমেন সোমালিয়ান প্রতিমন্ত্রীকে দেশটির শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে বলে জানান।
মোমেন জানান কৃষি উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষি গবেষণা ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি করেছে। বাংলাদেশ অনেক দেশে ওষুধ রফতানি করছে। বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণে দক্ষতা অর্জন করেছে। তাছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি ও আইসিটি, মৎস্য ও পশুসম্পদসহ কৃষি খাতে দক্ষতা অর্জন করেছে।
এ সময় বাংলাদেশ ও সোমালিয়ার মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি সই করা যেতে পারে সোমালিয়ান প্রতিমন্ত্রীকে জানান।
ড. মোমেন বাংলাদেশ সরকারের বিস্তৃত টিকাদান কর্মসূচির পাশাপাশি জনগণকে টিকা দেওয়ার জন্য কোভিড টিকার যৌথ উৎপাদনে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনার কথা প্রতিমন্ত্রীকে জানান। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, করোনা মহামারি প্রভাব সত্ত্বেও বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছে।
মোমেন রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে সোমালিয়ার সমর্থন চান। প্রতিমন্ত্রী ২০২৫-২৬ এ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচনে সোমালিয়ার প্রার্থিতায় বাংলাদেশের সমর্থন চান। এ প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও সোমালিয়া বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা বজায় রেখেছে। সোমালিয়া বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক প্রার্থিতা সমর্থন করে আসছে। আমরাও পরবর্তী আইএমও এবং মানবাধিকার কাউন্সিলে সোমালিয়ার সমর্থন চাই।
এনআই/এসকেডি