পুষ্টিহীনতা বিষয়ে সার্বজনীন (সব বয়সের) মানুষের নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই তবে সাফল্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পুষ্টিহীনতার বিষয়ে সার্বজনীন (সব বয়সের) মানুষের নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই।

এ সময় বিডিএইচএসের পরিসংখ্যান মতে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে একটি চিত্র তুলে ধরেন তিনি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খর্বাকৃতির হার এসডিজি (২০৩০) লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১২ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার কথা থাকলেও ২০১৭-১৮ সালে তা ৩১ শতাংশ; ২০০৭ সালে যা ছিল ৪৩ শতাংশ। কৃশকায় ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার কথা থাকলেও তা রয়েছে ৮ শতাংশ; যা ছিল ১৭ শতাংশ। কম ওজনের লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশের নিচে নামানোর কথা রয়েছে। ২০০১৮-১৯ সালে ছিল ২২ শতাংশ; ২০০৭ সালে যা ছিল ৪১ শতাংশ। অতি ওজন ১ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রায় ২০১৭-১৮ সালে ২ শতাংশ; ২০০৭ সালে যা ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ।

মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের অপুষ্টি জনিত কম ওজন ২০১৭-১৮ সালে ১২ শতাংশ; ২০০৭ সালে যা ছিল ৩০ শতাংশ। অতি ওজন ৩২ শতাংশ; যা ছিল ১২ শতাংশ। ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের কম ওজনের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের পাশাপাশি অতি ওজনের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ।

পুষ্টিহীনতা রোধকল্পে সরকারের নেওয়া এবং বাস্তবায়িত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন মন্ত্রী।

এইউএ/আইএসএইচ/ওএফ