করোনাভাইরাসের টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে এখনই টিকা নিতে চান না দেশের ৬৮ শতাংশ মানুষ। আর ১৬ ভাগ মানুষ কখনোই করোনার টিকা নিতে চান না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোকের ওপর চালানো জরিপে এই ফলাফল পাওয়া গেছে। গবেষণা দলের প্রধান গবেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, টিকা দেওয়া শুরুর কয়েক সপ্তাহ পরে ২২ ভাগ মানুষ এ টিকা নিতে চান। কয়েক মাস পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিতে চান ২৭ ভাগ মানুষ। আরও একবছর পর টিকা নিতে চান তিন ভাগ মানুষ। আর ১৬ ভাগ মানুষ কখনোই করোনার টিকা নিতে চান না।

তিনি আরও জানান, শহরাঞ্চলের ৮০ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী। গ্রামাঞ্চলে আগ্রহী ৮৭ শতাংশ মানুষ। ধর্মীয় দিক বিবেচনায় জরিপে দেখা গেছে, অন্যান্য ধর্মালম্বীদের তুলনায় বৌদ্ধরা সবচেয়ে কম আগ্রহী। তাদের মধ্যে আগ্রহীর সংখ্যা ৬৬ শতাংশ, মুসলমানদের মধ্যে আগ্রহী ৮২ শতাংশ, হিন্দুদের মধ্যে আগ্রহী ৯৭ শতাংশ মানুষ এবং খ্রিস্টধর্মালম্বলীদের মধ্যে ১০০ শতাংশ মানুষই টিকা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীরা করোনার টিকা নিতে বেশি আগ্রহী। 

টিকা নিতে অনাগ্রহ বা পরে নিতে চাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, টিকার কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ আছে ৫৪ ভাগ মানুষের। এছাড়া পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে ৩৪ ভাগ মানুষ এবং টিকার মান নিয়ে সন্দেহ থাকায় ১২ ভাগ মানুষ টিকা পরে নিতে চান বা কখনোই নিতে চান না। এছাড়া আর্থিক সক্ষমতাও টিকা নেওয়ার আগ্রহের ক্ষেত্রে পার্থক্য তৈরি করেছে।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে শুরু হতে যাচ্ছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টিকাদান কার্যক্রম। রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ স্বাস্থ্যকর্মীসহ অন্তত ২৫ জনকে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তীতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পুরোদমে চলবে এই কার্যক্রম।

এইচকে