রাজধানীর মিরপুর থেকে আজও বিভিন্ন রুটের বাস সংকট দেখা গেছে। ভোরে কয়েকটি বাস চলাচল করলেও তা কিছু সময় পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে দিনের শুরুতেই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কর্মব্যস্ত শহরের বাসিন্দাদের।

১৪ নভেম্বর (রোববার) থেকে রাজধানীতে কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস অথবা গেটলক সার্ভিস বাস থাকবে না বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। এরপর কয়েকদিন পার হলেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। আর সিটিং সার্ভিসের নামে পকেট কাটা হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। 

এ অবস্থায় বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুরে বাগবিতণ্ডায় জড়ান যাত্রী ও চালকরা। এরই জেরে ওইদিন দুপুর ২টার পর থেকে মিরপুর এলাকায় সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। যার রেশ বুধবার (১৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনে গড়াচ্ছে।

এদিন সকাল সোয়া ৬টা নাগাদ মিরপুর সাড়ে ১১ ও ১২ নাম্বার এলাকায় দেখা যায়, পরিস্থান পরিবহনের উত্তরা রুটের কয়েকটি গাড়ি চলছে। তবে তা এক ট্রিপ দিয়েই শেষ করবে বলে জানান একটি গাড়ির কন্ডাকটর বিপ্লব। গাজীপুর রুটের বসুমতি পরিবহনের কয়েকটি বাসও চলতে দেখা যায়। 

প্রায় ৭ বছর ধরে কন্ডাকটর পেশায় জড়িত পরিস্থান পরিবহনের বিপ্লব জানান, মালিকপক্ষ থেকে গাড়ি বন্ধ করার বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরেই আমাদের স্টাফরা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন। আপনি কেন নেমেছেন প্রশ্নে তিনি বলেন, পেটতো চালাতে হবে। রাস্তায় না নামলে তো পেট চলবে না।

মিরপুর থেকে উত্তরা রুটে বাসের দেখা মিললেও বাড্ডা, নতুন বাজার রুটের কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। মিরপুর ১০ নম্বরে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে এ রুটের এক যাত্রী চেপে বসেছেন উত্তরা রুটের গাড়িতে। পথে নেমে তিনি বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যাবেন।

এদিকে হাতেগোনা কয়েকটি গাড়ি চললেও তাতে বাধা দিচ্ছেন বন্ধ রাখা অন্য পরিবহনের শ্রমিকরা। যে কারণে ঝামেলা এড়াতে সকালে কয়েকটি গাড়িকে নির্ধারিত পথ পরিহার করে চালক বিভিন্ন গলি দিয়ে নিয়ে এসেছেন। 

বাস বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। মিরপুরের কালশী মোড়ে সকাল সাড়ে ছয়টায় অনেক মানুষকে গন্তব্যের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এ সময়ে বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যেখানে গাড়িতে ঠাসা থাকত সেখানে আজ যাত্রীদের অপেক্ষা! 

জেডএস