বিমার ২৫ কোটি টাকা লোপাট
পাঁচ প্রতিষ্ঠানের ৩৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন
বিমা প্রিমিয়ামের প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাধারণ বিমা করপোরেশন, এক্সিম ব্যাংক, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের ৩৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন। চার্জশিটে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞাপন
সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জালিয়াতির মাধ্যমে ডকুমেন্ট তৈরি করে বিমা প্রিমিয়ামের প্রায় ২৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাধারণ বিমা করপোরেশনের সাবেক ম্যানেজার ও শাখা প্রধান মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর মামলা করে দুদক।
এরপর গত ২৯ জুলাই ওই অভিযোগে সাধারণ বিমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপক মো. আবুল কাশেমকে গ্রেফতার করে দুদক।
আসামিরা হলেন- সাধারণ বিমা করপোরেশনের অডিট অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের বরখাস্ত হওয়া ম্যানেজার মো. আবুল কাশেম ও তার স্ত্রী মিসেস নাসরিন আক্তার এবং বিমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের ম্যানজার মো.জহিরুল ইসলাম।
এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের কেরানীগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মুসা আহমেদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিদফতর বিভাগের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, একই বিভাগের উপপরিচালক ড. শেলিনা বেগম ও কন্ট্রোলার জসিম উদ্দিন আখন্দ।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক (হিসাব) আলতাফ হোসাইন, উপ-পরিচালক ফয়েজ আহাম্মদ, উপ-পরিচালক (হিসাব) মো. আওলাদ হোসেন, উপপরিচালক সাহানারা আফরোজ, সিনিয়র সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (হিসাব) গৌতম কুমার দেবনাথ, অতিরিক্ত পরিচালক (অডিট পরিদফতর) মো. আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত পরিচালক চুনী লাল দেবনাথ, উপ-পরিচালক (অর্থ) মেহবুব মার্শেদ, উপপরিচালক রইছ উদ্দিন, সাবেক পরিচালক আবুল বাসার চৌধুরী, কাজী আহসান উল্লাহ, অজিত কুমার ঘোষ, মিজানুর রহমান সরকার, নুরুল আলম ও আনোয়ার হোসেন, বিদ্যুতের অর্থ পরিদফতরের সাবেক নিম্নমান সহকারী বনাম কম্পিউটার অপারেটর (বিমা) উপেন্দ্র চন্দ্র দাস, বর্তমান নিম্নমান সহকারী, এফ এম আশরাফুল আলম এবং নিয়ন্ত্রক (হিসাব ও অর্থ) কাজী আসরাফুল হক।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. স্বপন কুমার রায়, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. শিরীন আক্তার জাহান, ড. মুহাম্মদ শাহরিয়ার বাসার, চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ও মহাপরিচালক (অতি. দায়িত্ব) ড. মালা খান, চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার মোহাম্মদ নাজিম জামান, ড. মো.তুষার উদ্দীন এবং সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার দিপা ইসলাম।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাছেনা বেগম এবং মহাখালী টিবি হাসপাতালের এমএলএসএস মো. মিলন।
আরএম/এসকেডি