মাহাদী জে আকিব/ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবের (২১) শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। আগামীকাল রোববার ( ১৪ নভেম্বর) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউতে) থেকে তাকে কেবিনে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আকিব এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন। 

শনিবার  (১৩ নভেম্বর) রাতে চমেক হাসপাতালের নিউরো-সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আকিবের অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। মুখে নরম খাবার দেওয়ার পাশাপাশি আকিবকে এখন হাঁটানোও হচ্ছে। সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে রোববার আকিবকে আইসিইউ থেকে কেবিনে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকিবের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আগামীকাল বিস্তারিত জানানো হবে।’

এর আগে গণমাধ্যমকে অধ্যাপক এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী জানিয়েছিলেন, আকিবের মাথার হাড় ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ অবস্থায় অপারেশন করে মাথার হাড়ের একটা অংশ খুলে আপাতত তার পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়েছে। কিছুটা উন্নতি হলে সেটি আবার আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে। 

গত ২৯ অক্টোবর রাতে এবং ৩০ অক্টোবর দিনে চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জের ধরে চমেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আকিবকে মারধর করে প্রতিপক্ষ। তারা আকিবকে হকিস্টিক ও বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হন আকিব।

আকিবের আহত হওয়ার ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে ৩০ অক্টোবর রাতে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র তৌফিকুর রহমান। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চমেক সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে জড়ানো একটি পক্ষ চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং আরেকটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেয়। আহত আকিব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে জানা গেছে। 

কেএম/এসকেডি