প্রশ্নফাঁসে জড়িত আরও ২০ জনকে খুঁজছে ডিবি
রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের কর্মকর্তা (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত আরও ২০ জনকে খুঁজছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গত কয়েকদিনে অভিযান চালিয়ে অন্তত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ মামলায় ছয়জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে প্রশ্নফাঁসে আরও ২০ জনের সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে জানতে পেরেছে ডিবি।
ডিবি বলছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও ২০ জনের নাম পাওয়া গেছে। ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণও পেয়েছে ডিবি। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
ডিবি তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদত হোসেন ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও ২০ জনের নাম পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ১০০ থেকে ২০০ জনের কাছে ফাঁস করা প্রশ্ন পৌঁছেছে। তবে এই ২০০ জনের মাধ্যমে আরও প্রার্থীদের কাছে প্রশ্ন পৌঁছেছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচটি সরকারি ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল বেসরকারি আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষার আগের রাত থেকে এবং পরীক্ষার পর প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এরপর মাঠে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
৬ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন, মূলহোতা আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল (২৬), জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার অফিসার শামসুল হক শ্যামল (৩৪), রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন (৩০), পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন (৩৮) ও চাকরিপ্রার্থী স্বপন।
পরে বুধবার রাতে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে ডিবি। তারা হলেন- জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন, সোহেল রানা ও ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এবি জাহিদ।
গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষাটি বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সঙ্গে আহছানউল্লার দায়িত্বে অনুষ্ঠেয় সামনের আরও দুটি নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
এমএসি/আরএইচ/জেএস