সহকারী পরিচালক থেকে পদোন্নতি পেয়ে উপপরিচালক হয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৩৪ কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সংস্থাটির জনসংযোগ দফতর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন- মামুনুর রশীদ চৌধুরী, রেজাউল করিম, মো. জাহিদ কালাম, মো. নাজমুল হুসাইন, শেখ গোলাম মাওলা, কমলেশ মন্ডল, মো. হুমায়ূন কবীর, মো. আল আমিন, মো. শাহরিয়ার জামিল, রাম প্রসাদ মন্ডল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. সিফাত উদ্দিন, মো. রাশেদুল ইসলাম, মঈনুল হাসান রওশনী, রতন কুমার দাশ, মো. আলমগীর হোসেন, এরশাদ মিয়া, মো. আহসানুল কবীর পলাশ, আতিকুল আলম, মো. রাউফুল ইসলাম, মো. আতিকুর রহমান, নারগিস সুলতানা, মো. মোজাম্মিল হোসেন, মো. খায়রুল হক, মো. আনোয়ার হোসেন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মো. আবু সাইদ, মো. ইকবাল হোসেন, মো. আবদুল ওয়াদুদ, মো. শফিউল্লাহ, মো. ফখরুল ইসলাম, মো. মনিরুল ইসলাম, এইচ এম আখতারুজ্জামান ও মো. সিরাজুল হক।

এর আগে গত ২৮ অক্টোবর দুদকের নিয়োগ ও পদোন্নতি কমিটি-১ এর সভায় বিভাগীয় পরীক্ষার ফলাফল বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ও জ্যেষ্ঠতা তালিকাসহ অন্যান্য কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ওই ৩৪ জন সহকারী কর্মকর্তাকে উপপরিচালক পদে পদোন্নতির সুপারিশ করে। এরপর কমিশন থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

সহকারী পরিচালক থেকে উপপরিচালক পদে পদোন্নতি পেতে তাদেরকে গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশের ৪০টি আইন ও বিধিমালার ওপর ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় ন্যুনতম ৬০ পেয়ে পাস করতে হয়েছে। এরপর তারা পর্যায়ক্রমে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পদোন্নতি পেলেন।

দুদকের পদোন্নতি পরীক্ষার কঠিন প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি কর্মকর্তা পর্যায়ের সব পদোন্নতিতে এমন নিয়ম অনুসরণ করার পক্ষে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও বাংলাদেশে ক্যাডার সার্ভিসগুলোতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে এমন কোনো পরীক্ষার নজির পাওয়া যায় না।

আরএম/জেডএস