খৈয়ছড়ায় আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট বর্জন
ভোট কেন্দ্রে আসতে বাঁধা দেওয়া, জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারাসহ বিভিন্ন অভিযোগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন মিরসরাই উপজেলার ১২ নম্বর খৈয়াছড়া ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহেদ ইকবাল চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। নৌকা থেকে মনোনয়ন না পেয়ে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছিলেন জাহেদ ইকবাল চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
জাহেদ ইকবাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার ভোটাররা ইউনিয়নের নয়টি কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পারছে না। প্রতিটি কেন্দ্রের আগে নৌকা প্রতীকের লোকজন চেকপোস্ট বসিয়েছে, ভোটারদের আসতে দিচ্ছে না। আমি খৈয়াছড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে দেখেছি, দুইটি ব্যালট পেপারে নৌকার সিল। কিন্তু এই সময় প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। সবকিছু মিলিয়ে আমি নির্বাচন বর্জন করছি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে দুইবার এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলাম। প্রথমবার নির্বাচিত হয়েছিলাম গরুর গাড়ি প্রতীক নিয়ে, দ্বিতীয়বার নৌকা প্রতীকে। এবার আমাকে ষড়যন্ত্র করে নৌকার প্রতীক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। ভোটারদের আসতে দিচ্ছে না জুনুর লোকজন। তাই এই নির্বাচন বয়কট করলাম। প্রশাসন থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি।
তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুল হক জুনু এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, খৈয়াছড়া ইউনিয়নে সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। নির্বাচনে হেরে যাবে বুঝতে পেরেই মিথ্যা কথা বলছে প্রতিপক্ষ।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ৩৯ ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ২১ ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া আদালতের আদেশে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ও ভক্তপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ২১ ইউনিয়ন পরিষদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও এসব ইউনিয়নে মেম্বার ও সংরক্ষিত মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এছাড়া ১৬ ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১২৫৬ জন সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী এবং ২৯১ জন সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কেএম/এমএইচএস