গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পরবর্তী ফি বাতিল করাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন সাধারণ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। তাদের অন্য দুটি দাবি হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের মেধাক্রম প্রকাশ করতে হবে এবং সেকেন্ড টাইম বহাল রাখতে হবে।

মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, ২০২০-২১ সেশনে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর গুচ্ছভুক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি অনুষদে আবেদনের ক্ষেত্রে ৬৫০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ২০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পরও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অন্যায্যভাবে প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি প্রতি অনুষদের জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করা হচ্ছে। অথচ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনার পাশাপাশি যুক্তি দেখানো হয়েছিল যে, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হয়রানি হ্রাস পাবে। কিন্তু বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। সমগ্র শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রবল বাণিজ্যের মানসিকতা গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে দৃশ্যমান।

তারা আরও বলেন, শুরু থেকেই এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের মহড়া চলছে। গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদনের ফি সর্বপ্রথম ৫০০ টাকা নির্ধারণ করলেও পরে ১০০ টাকা বৃদ্ধি করে ৬০০ টাকা করা হয়। নানা অজুহাতে সেই ভর্তি ফিও দ্বিগুণ করে ১ হাজার ২০০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে সেই অতিরিক্ত ফি দিয়েও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু অতীতের সব নজিরকে অতিক্রম করে এবার ভর্তি পরীক্ষার পরও শিক্ষার্থীদের ওপর পুনরায় আবেদন ফি চাপানো হয়েছে।

মানববন্ধনে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/জেডএস