পোশাক খাতের কর্মীদের মজুরির হার পুনরায় ঘোষণা করে তা আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল।

বুধবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠক থেকে এসব দাবি জানান কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য সালাউদ্দিন স্বপন।

সংগঠনটির অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাধা দূর করে রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে ও ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা আইএলও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী সংশোধন করতে হবে। শ্রম আইন বিধিতে অতীতে যুক্ত আইএলও কনভেনশনবিরোধী বিভিন্ন ধারাসহ সব কালা কানুন বাতিল করতে হবে; দেশের সব পোশাকশিল্প অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে শ্রমিকদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে; শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য সোশ্যাল সেইফটি নেট গড়ে তুলতে হবে; শ্রমিক ছাঁটাই শ্রমিক নির্যাতন ও প্রোডাকশন টার্গেট দিয়ে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে; দেশের চারটি বৃহৎ পোশাক শিল্প অঞ্চল এলাকায় শ্রমিকদের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং পক্ষ অবলম্বনকারী শিল্প পুলিশ অবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে সালাউদ্দিন স্বপন বলেন, করোনার সময় লকডাউনের মধ্যেই পোশাক শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উৎপাদনের চাকা সচল রেখে দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা ধরে রেখেছিল। কিন্তু মালিকরা করোনার সুযোগে শ্রমিক ছাঁটাই, মজুরি কর্তন, শ্রমিক সংগঠিতকরণ ও ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন বাধাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও বেআইনি কার্যকলাপ করছে।

তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে শ্রমিকরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। অপরদিকে শ্রম অধিদফতর (ডিওএল) এবং কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরসহ (ডাইফে) সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরের নিষ্ক্রিয়তা মালিকদের অনৈতিক কাজে উৎসাহ যুগিয়েছে।

গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সভাপতি মীর আবুল কালাম আসাদ, সদস্য আমিনুল হক আমিন প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস