পদ্মা সেতুর সড়ক পথের পিচ ঢালাইয়ের কাজ (কার্পেটিং) আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়েছে। পিচ ঢালাই আরও আগে শুরুর পরিকল্পনা ছিল সংশ্লিষ্টদের। এজন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। কিন্তু বৃষ্টির কারণে পিছিয়ে যায় এ কার্যক্রম। বাংলাদেশ সেতু বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

রোদ থাকায় পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্টরা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই পিচ ঢালাইয়ের কাজ শুরুর আশা করছিলেন। গত ১৯ অক্টোবর থেকে পদ্মা সেতুর সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর তৈরির কাজ শুরু হয়। চার মিলিমিটার পুরুত্বের এই স্তরকে প্রকৌশলীরা ‘ওয়াটারপ্রুফ মেমব্রেন’ নামে অভিহিত করছেন। ইংল্যান্ড ও ইতালি থেকে এই স্তর তৈরির জন্য রাসায়নিক আমদানি করা হয়েছে। সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তারপর শুরু হয়েছে কার্পেটিং। 

সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের ঢাকা পোস্টকে বলেন, পিচ ঢালাই শুরুর প্রস্তুতি আমরা আগেই নিয়েছি। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তা শুরু করতে পারব বলে আশা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত তা শুরু করা যাচ্ছে। 

পদ্মা সেতুর সড়কপথে পানি নিরোধক রাসায়নিকের স্তর তৈরির কাজের চিত্র/ফাইল ছবি- ঢাকা পোস্ট

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টে পানি নিরোধক স্তর বসানো হচ্ছে না। তাই ভায়াডাক্টের ৬০ মিটার অংশে পিচ ঢালাই করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে পদ্মা সেতুর ওপরের সড়কের সকল কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে সেতু বাস্তবায়নকারী এ সংস্থার।

উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর একে একে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়। তারপর বসানো হয়েছে সড়ক যান চলাচলের জন্য কংক্রিটের স্ল্যাব। পদ্মা সেতুর পিচের পুরুত্ব হবে ১০০ মিলি মিটার। তারপর পার্শ্ব দেয়ালসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।

প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ যাবত সার্বিক কাজ এগিয়েছে ৮৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মূল সেতুর কাজ হয়েছে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ, নদীশাসনের কাজ হয়েছে ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

পিএসডি/এইচকে