ঢাকা মহানগরীতে কী পরিমাণ বাস ও মিনিবাস সিএনজিতে চলাচল করে আর কী পরিমাণ বাস-মিনিবাস ডিজেলে চলে তার পরিসংখ্যান নেই বিআরটিএর কাছে।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিআরটিএ ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন পরিবহন নেতা খন্দকার এনায়েত উল্লাহ।

তিনি বলেন, বিআরটিএর কাছে কেন পরিসংখ্যান থাকবে না? এ সংক্রান্ত তথ্য না থাকায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আমার জানা মতে, ঢাকা মহানগরীতে যদি ৬০০০ বাস চলে তাহলে তার মধ্যে মাত্র ৬০০ বাস সিএনজিতে চলাচল করছে। আমি এ নিয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারি। কিন্তু বিআরটিএর কাছে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। সিএনজিতে চলাচলকারী বাসের সংখ্যা নিয়ে টেলিভিশনে টকশোতে উত্তপ্ত আলোচনা হয়। কিন্তু বিআরটিএর পক্ষ থেকে কোনো জবাব দেওয়া হয় না।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সভার সভাপতি বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার সভায় উপস্থিত পরিবহন নেতাদের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সিএনজিচালিত বাস-মিনিবাসের সংখ্যার হালনাগাদ তথ্য বাস মালিকদের কাছ থেকেই পাওয়া সম্ভব। বাস মালিকদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পর আমরা অনুসন্ধান চালাব। তারপর ডিজেল ও সিএনজিচালিত বাস চিহ্নিত করা হবে। সিএনজিচালিত বাসে স্টিকার লাগিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করবে বিআরটিএ।

সভায় উপস্থিত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা মিটার চালু রেখে ভাড়া আদায় করছে কি না তা দেখার যেন কেউ নেই। ঢাকা মহানগর পুলিশ এ ব্যাপারে সক্রিয় হতে পারে। অটোরিকশায়  অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ায় যাত্রীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, দুর্ভোগে পড়ছেন।

পিএসডি/এসকেডি