নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধিতে দরপত্রের শিডিউল হালনাগাদের দাবি
নির্মাণসামগ্রীর দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বাজার দর অনুযায়ী সব সরকারি দরপত্রের রেট শিডিউল অনুযায়ী হালনাগাদ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি (বিএসিআই)।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বিজ্ঞাপন
বক্তরা বলেন, অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির প্রবণতা রোধ করা সম্ভব না হলে সরকারি প্রকল্পে স্থবিরতা নেমে আসবে। তাই বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সব সরকারি দরপত্রের রেট হালনাগাদ করা প্রয়োজন। প্রকল্পের কাজে ব্যবহৃত পানি ও বিদ্যুৎ সংক্রান্ত খরচ পিডব্লিউডি রেটে শিডিউলে করতে হবে।
লিখিত বক্তব্যে বিএসিআইর সাবেক সভাপতি শেখ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতি টন রডের বর্তমান মূল্য ৭৮ থেকে ৮০ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। ইলেকট্রিক ক্যাবলসহ অন্যান্য দ্রব্যের মূল্যও শ্রেণিভেদে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত শ্রমিক, সুপারভাইজার ও দক্ষ জনবলের মজুরিও শতকরা প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রকল্পের অগ্রগতিতে অতি মন্থরতা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, কাজের স্বাভাবিক অগ্রগতি অর্জিত না হওয়ার ফলে বিল পাওয়া যাচ্ছে না এবং গৃহীত ব্যাংক ঋণ পরিশােধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যাংক থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে চলমান প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে পারছি না। নতুন কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণের সাহসও পাচ্ছি না। চলমান অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির প্রবণতা রােধ সম্ভব না হলে প্রকল্পের সব নির্মাণকাজে স্থবিরতা দেখা দেবে। প্রকল্প বাস্তবায়নও অসম্ভব হয়ে পড়বে।
সংগঠনটির সভাপতি প্রকৌশলী সফিকুল হক তালুকদার বলেন, দাবি বাস্তবায়িত না হলে সরকারের সব নির্মাণ প্রকল্প স্থবির হয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এক বিশাল শ্রমগােষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়বে।
সংগঠনের সদস্য এসএম খোরশেদ আলম বলেন, আমাদের মূল সমস্যা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। গত বছর এই সময়ে রড ৫৪-৫৫ হাজার টাকা কিনতাম, সেটার আজকের বাজার দর ৮২ হাজার টাকা। কিন্তু এক বছর আগে যখন কাজটা পেলাম, তখন রডের দাম ছিল ৫৪ হাজার টাকা। আজকে আমি কী করে সেই কাজটা করব।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী কোনো সামগ্রীর বর্ধিত মূল্য আমাদের পাওয়ার কথা থাকলেও তা পাচ্ছি না। আইন আছে কিন্তু সেটা এপ্লিকেবল হয় না। এর মাধ্যমে আমার পাওনা অস্বীকার করা হয়। আমরা চাই বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী সব সরকারি দরপত্রের রেট শিডিউল হালনাগাদ করা হোক।
আরএম/ওএফ