রাজধানীর বাস-মিনিবাসগুলোতে সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে ‘ভাড়া সন্ত্রাস’। পরিবহনে এ সার্ভিসের নামে করা হচ্ছে যাত্রী হয়রানি। যদিও এ ধরনের সার্ভিসের কোনো অনুমোদন নেই। 

সিটিং সার্ভিস বন্ধ রাখতে ২০১৭ সালের এপ্রিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবহন মালিকদের সংগঠন। তবে অঘোষিত ধর্মঘটের মুখে সেসময় তা বন্ধ করা যায়নি। 

তবে এবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সিটিং সার্ভিস লেখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। এমনটি জানিয়েছেন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ। মঙ্গলবার বিকেলে বিআরটিএ ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। 

বৈঠকে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে কোনো বাস সিটিং সার্ভিস লিখতে পারবে না। রুট পারমিটের শর্ত মেনে বাসগুলোতে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। বুধবার এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। 

জানা গেছে, বুধবার বিকেল তিনটার দিকে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠক হবে। বৈঠকে মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। সিটিং সার্ভিস লেখা যাবে না- এমন সিদ্ধান্ত বৈঠক থেকে নেওয়ার কথা রয়েছে। 

মঙ্গলবার বিআরটিএ ভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান নুর নবী শিমু ঢাকা পোস্টকে বলেন, সিটিং সার্ভিস পরিবহনে নৈরাজ্য বাড়িয়েছে। এটি বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে সরকার-মালিকদের।   

বৈঠকে সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ বলেন, আট বছর পর বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অনেকে ভুল তথ্য প্রচার করছেন। ঢাকা মহানগর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে মালিক-শ্রমিকদের ১৫টি টিম থাকবে। শুধু ভাড়া বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। অন্য বিষয়গুলো আমলে নিলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধের কর্মসূচি ব্যাহত হবে।
 
বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে রাজধানীতে বাসে সিটিং, গেটলক ও স্পেশাল সার্ভিস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বিষয়টি তদারকিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছিল। 
 
পিএসডি/আরএইচ