দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোট : আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠিত
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন আগামী ১১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধির সমন্বয়ে এ সেল গঠন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৮ নভেম্বর) ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, মনিটরিং সেলের প্রধান করা হয়েছে আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদেরকে।
এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, পুলিশের এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা, বিজিবি ও র্যাবের অতিরিক্ত পরিচালক, মেজর, আনসার ও ভিডিপির মেজর অথবা উপপরিচালক কর্মকর্তা এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অথবা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তারা মনিটরিং সেলের কমিটিতে থাকবেন।
ইসির আদেশে বলা হয়েছে, ভোটগ্রহণের দিন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মনিটরিং সেলের কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে পরিচালিত হবে।
সেলের কার্যক্রমে বলা হয়েছে-
১. নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে অবগতকরণ,
২. সেলে অন্তর্ভুক্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি কর্তৃক নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা সদস্যদের অবস্থা ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাতকরণ,
৩. সংস্থার নিজস্ব যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিশনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে অবহিতকরণ,
৪. ভোটকেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধন,
৫. ইভিএমসহ বিভিন্ন নির্বাচনী মালামাল পরিবহন, বিতরণ এবং ভোটগ্রহণকাজে নিরাপত্তা বিধানের জন্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সহায়তা প্রদান।
ইসি আদেশে বলেছে, মনিটরিং সেল যেন কার্যকর হয় এবং কমিশনকে যেন যথা সময়ে পরিস্থিতি অবহিত করা হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন।
এসআর/এইচকে