উঠে দাঁড়িয়েছেন আকিব
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী মাহাদী জে আকিবের (২১) অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। তিনি আজ বিছানা ছেড়ে দাঁড়াতে পেরেছেন।
আকিবের মাথায় যেখানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে সেখানে আজ ড্রেসিং করা হয়েছে। বদলে দেওয়া হয়েছে মাথার ব্যান্ডেজ। আকিব এখনো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আকিব আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছে। আজ আকিবকে দাঁড় করানো হয়েছিল। এই পর্যায়ে এসে আকিবকে আমরা শঙ্কামুক্ত বলতে পারি আল্লাহর রহমতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে এখনো আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার ব্যান্ডেজ পরিবর্তন করা হয়েছে। ড্রেসিং করা হয়েছে। আকিব মুখ দিয়েই এখন খাবার গ্রহণ করছে।’
এর আগে এই চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, আকিবের মাথার হাড় ভেঙে গেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ অবস্থায় অপারেশন করে মাথার হাড়ের একটা অংশ খুলে আপাতত তার পেটের চামড়ার নিচে রাখা হয়েছে। কিছুটা উন্নতি হলে সেটি আবার আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হবে।
গত ২৯ অক্টোবর রাতে এবং ৩০ অক্টোবর দিনের বেলা চমেক ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের জের ধরে চমেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আকিবকে মারধর করে প্রতিপক্ষ। তারা আকিবকে হকিস্টিক ও বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হন আকিব।
সংঘর্ষে আকিবের আহত হওয়ার ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে ৩০ অক্টোবর রাতে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র তৌফিকুর রহমান। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চমেক সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে জড়ানো একটি পক্ষ চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং আরেকটি পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। আহত আকিব মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী বলে জানা গেছে।
কেএম/এইচকে/জেএস